হোমে নির্যাতিতা কিশোরীর পাশে দাঁড়ালেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ‍্যায়

8th January 2021 12:03 pm হুগলী
হোমে নির্যাতিতা কিশোরীর পাশে দাঁড়ালেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ‍্যায়


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : লিলুয়ার সরকারী হোমে ভয়ঙ্কর নির্যাতনের শিকার হ ওয়া কিশোরীর পাশে এসে দাঁড়ালেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ‍্যায় । ঘটনার কথা জানিয়ে রাজ‍্যের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সহ রাজ‍্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন সাংসদ । অবিলম্বে তদন্ত করে যারা দোষী তাদের কঠোর শাস্তি প্রদান সহ সরকারী হোম কতৃপক্ষের উদাসীনতা ও গাফিলতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্ৰহণের ও দাবী তুলেছেন সাংসদ । আগামীদিনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছেও যাবেন তিনি বলে জানিয়েছেন । লিলুয়ার  সরকারী হোমে হুগলীর সিংহিবাগানের কিশোরীর উপর যে ধরনের অত‍্যাচার করা হয়েছে তা শিহরণ জাগিয়েছে সকলের মনে । কিশোরীর দুই হাতে সেপটিপিন দিয়ে হোমের তিন আবাসিক তাদের নাম লিখেছে খোদাই করে । হোম থেকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসার পরেই প্রকাশ‍্যে এসেছে ঘটনা । কিশোরী সহ তার পরিবার নির্যাতনের অভিযোগ ও জানিয়েছেন হুগলীর মহকুমাশাসকের ( সদর ) কাছে ।  এরপর বেলুড় থানাতেও অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা কিশোরী ও পরিবার । সাংসদ লকেট চট্টোপাধ‍্যায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে হোমেও গিয়েছিলেন । কিন্তু হোম কতৃপক্ষ কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন সাংসদ ।  ঘটনাসুত্রে জানা গেছে , গত ১৬ ই ডিসেম্বর বাড়ি থেকে রাগারাগি করে বেড়িয়ে যায় কিশোরী । ১৭ ই ডিসেম্বর রাত্রে হাওড়া স্টেশন থেকে রেল পুলিশ উদ্ধার করে লিলুয়া হোমে পাঠায় । গত সোমবার বাড়ি ফিরে ওই কিশোরী জানায় তার উপরে হ ওয়া নির্যাতনের ঘটনা । হাতে এখনো লেখা রয়েছে সেপটিপিন দিয়ে খোদাই করা তিন আবাসিকের নাম । যা জানার পর শিউড়ে উঠছেন সকলে । প্রশাসন ওই অভিযুক্ত সহ হোম কতৃপক্ষ এর বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেন তার দিকেই তাকিয়ে সকলে । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।